রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫, ০১:১৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ :
বোচাগঞ্জে হারিয়ে যাওয়া অস্ত্র-গুলি উদ্ধার অভিযান অব্যাহত, ওসির বক্তব্যে প্রশ্ন উঠছে বোচাগঞ্জে মডেল মসজিদ নির্মাণে অনিয়ম: গাঁথুনির কাজ স্থগিতের নির্দেশ সাংবাদিক ইউনিয়ন দিনাজপুর নির্বাচন: সভাপতি ও সম্পাদক পদে তিন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল কাহারোলে নিষিদ্ধ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ২ কর্মী আট বিএমবিসি উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার মানোন্নয়নে অভিভাবক সমাবেশ  বালিয়াকান্দিতে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত, নানা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত সালথা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক শাহিন গ্রেপ্তার চরভদ্রাসনে মেধাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠান সম্পন্ন বালিয়াকান্দি পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করলেন এসিল্যান্ড বিএনপির সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচির উদ্বোধন

বোয়ালমারীতে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ুয়া কিশোরীর পেটে বাচ্চা ধর্ষক ৫ সন্তানের জনক

  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২৫, ৮.৫০ এএম
  • ১৭০ জন সংবাদটি পড়েছেন

মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, বোয়ালমারী

উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের কমলেশ্বরদী গ্রামে স্কুল পড়ুয়া এক ছাত্রী ৩ মাসের গর্ভবতী হয়েছে বলে জানা গেছে। ওই ছাত্রী স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। এই শিশু বয়সেই বিভীষিকাময় এক অন্ধকারের মুখোমুখি হয়েছে মেয়েটি। পেটে তার তিন মাসের বাচ্চা। আর তার এই বাচ্চার বাবা হচ্ছেন প্রতিবেশী কিতাব মোল্যার ছেলে মুকুল মোল্লা (৫৫) পেট ব্যাথা,বমি আর রক্তক্ষরণের ফলে গুরুত্বর অসুস্থ অবস্থার মধ্যে দিনাতিপাত করছে মেয়েটি। অর্থাভাবে মিলছেনা উন্নত চিকিৎসা। ফলে ঘরের মেঝেতে শুয়ে-বসে কাতরাতে-কাতরাতে জীবন কাটছে তার।

অনুসন্ধানে জানাযায়,অভাবের তাড়নায় বেশ কয়েক বছর আগে বিদেশে পাড়ি জমান মেয়েটির মা। বাবা আর তিন বোন মিলে তাদের সংসার। ফলে কাজের জন্য বাবা যখন বাইরে যান তখন কার্যতঃ অরক্ষিত থাকেন তার তিন কন্যা সন্তান। আর এ সুযোগটিই বেছে নেয় লম্পট,চতুর, দুই স্ত্রীর ৫ সন্তানের জনক মুকুল মোল্যা। মাস তিনেক আগে মেয়েটিকে ফুসলিয়ে বাড়ির পাশে মেহগনি বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করে সে। সম্প্রতি পেট ব্যাথা,বমি আর রক্ত ক্ষরণের সমস্যায় মেয়েটি আক্রান্ত হলে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ফাঁস হয়ে যায় আসল কাহিনি। শুরু হয় তোলপাড়। অসুস্থ মেয়েটিকে ভালো কোন ক্লিনিক বা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়নি। বাড়িতে রেখেই স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক, কবিরাজ দিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এদিকে স্থানীয় গণ্যমান্যরা সালিশ-মিমাংসার আশ্বাস দেওয়ায় এখন পর্যন্ত আইনের আশ্রয় নেননি ভুক্তভোগীর অভিভাবকরা। মেয়েটির বাবা বলেন,আমার শিশু কন্যার জীবন ধ্বংস করে দিয়েছে লম্পট মুকুল শমোলয়া। গ্রামের মাতুব্বররা ন্যায় বিচার করে দিবেন-এমন আশ্বাস পেয়ে বসে আছি। দ্রুত সমাধান না পেলে আইনের দারস্থ হব।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মোশারফ হোসেন বলেন,মেয়ের বাবার নিকট থেকে ঘটনা অবহিত হয়েছি। এর সত্যতাও পাওয়া গেছে। গ্রামের মুরব্বিরা এলাকায় বসে মিমাংসা করার পক্ষে মতামত দিয়েছেন। তবে ভুক্তভোগী পক্ষ যেটা চাইবে তাই হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

jmitsolution_16012
© All rights reserved © 2025
Developed By : JM IT SOLUTION