রাজবাড়ীতে এক গৃহবধূকে (২৫) আটক করে অপহরণ, ধর্ষণচেষ্টা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন ও একই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হিমাদ্রি হাওলাদারসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
আজ রোববার দুপুরে ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে রাজবাড়ীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলাটি করেন। বিচারক শেখ মফিজুর রহমান মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ফরিদপুর কার্যালয়ের পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার আরেক আসামি হলেন পাংশা উপজেলার হাবাসপুর ইউনিয়নের কাচারীপাড়া গ্রামের এতেম শেখের ছেলে আরিফ হোসেন।
তবে পাংশা থানার ওসির দাবি, মামলার বাদী গৃহবধূ ও তাঁর স্বামী একটি অপহরণ মামলার নিয়মিত আসামি। ওই গৃহবধূকে গ্রেপ্তার করায় তিনি পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন।
মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়, স্বজনসহ সাক্ষীরা ওই গৃহবধূকে ছাড়িয়ে আনার জন্য থানায় গেলে ওসি, এসআই ও সহযোগী আরিফ তাঁদের কাছে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করেন। একপর্যায়ে এসআই হিমাদ্রি ২০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়ে মুচলেকার মাধ্যমে গৃহবধূকে ছেড়ে দেন। তবে দাবি করা মোটা অঙ্কের টাকা না দিলে গৃহবধূর স্বামীকে গ্রেপ্তার করে অস্ত্র ও মাদক মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেন তাঁরা। বিষয়টি নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব বরাবর অভিযোগ করা হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
রাজবাড়ীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জাহিদ উদ্দিন মোল্লা বলেন, ট্রাইব্যুনালের বিচারক গৃহবধূর করা মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ফরিদপুর কার্যালয়ের পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন।
Leave a Reply