রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫, ০৩:০৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ :
বোচাগঞ্জে হারিয়ে যাওয়া অস্ত্র-গুলি উদ্ধার অভিযান অব্যাহত, ওসির বক্তব্যে প্রশ্ন উঠছে বোচাগঞ্জে মডেল মসজিদ নির্মাণে অনিয়ম: গাঁথুনির কাজ স্থগিতের নির্দেশ সাংবাদিক ইউনিয়ন দিনাজপুর নির্বাচন: সভাপতি ও সম্পাদক পদে তিন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল কাহারোলে নিষিদ্ধ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ২ কর্মী আট বিএমবিসি উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার মানোন্নয়নে অভিভাবক সমাবেশ  বালিয়াকান্দিতে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত, নানা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত সালথা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক শাহিন গ্রেপ্তার চরভদ্রাসনে মেধাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠান সম্পন্ন বালিয়াকান্দি পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করলেন এসিল্যান্ড বিএনপির সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচির উদ্বোধন

রাজবাড়ী আদালত চত্বরে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপির সঙ্গে জেলা জামায়াত আমিরের করমর্দন

  • Update Time : মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৫, ৯.৪০ এএম
  • ১৩৩ জন সংবাদটি পড়েছেন

আল আমীন খোকন, রাজবাড়ী

রাজবাড়ী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলীর সঙ্গে আদালতের বারান্দায় করমর্দন করেছেন জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মো. নুরুল ইসলাম। তাঁদের করমর্দনের ছবি নিয়ে ফেসবুকে চলছে নানা আলোচনা। তবে করমর্দনের বিষয়টিকে ‘সৌজন্যতা’ হিসেবে দেখছেন জামায়াতের এই নেতা।

গতকাল রোববার গভীর রাতে কাজী কেরামত আলীকে রাজধানীর মহাখালী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে আজ সোমবার সকালে তাঁকে রাজবাড়ী নিয়ে আসা হয়। রাজবাড়ীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও গুলিবর্ষণের মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আজ দুপুর পৌনে ১২টার দিকে রাজবাড়ী সদর আমলি আদালতের বিচারক জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. তামজিদ আহমেদের আদালতে কাজী কেরামতকে হাজির করা হয়। আদালত তাঁর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, গত ৩০ আগস্ট কাজী কেরামত আলীসহ ১৭০ জনের নাম উল্লেখ করে রাজবাড়ী সদর থানায় মামলা করেন রাজীব মোল্লা নামের এক শিক্ষার্থী। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ৩০০ জনকে আসামি করা হয়। এই মামলায় কাজী কেরামতকে কারাগারে পাঠানো হয়।

দুপুরে জেলা কারাগারে নেওয়ার পথে আদালতের বারান্দায় জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলীর সঙ্গে দেখা হয় জামায়াতের নেতা মো. নুরুল ইসলামের। এ সময় তাঁরা করমর্দন করে। তাঁদের এই করমর্দনের ছবি ছড়িয়ে পড়ে ফেসবুকে। এ নিয়ে নানা মন্তব্য করছেন ফেসবুক ব্যবহারকারীরা।

সিরাজুল ইসলাম নামের একজনের মন্তব্য, ‘হাত মেলানো মানেই আওয়ামী লীগের সঙ্গে যাওয়া না। অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম একজন ভদ্রলোক। তাই সৌজন্যের খাতিরে হাত মেলাচ্ছেন। তবে আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে।’

আর শরিফুল ইসলাম নামের একজন লিখেছেন, ‘খুনি হাসিনার দোসর, বালুখোর, ভোট চোরের সঙ্গে হাত মিলানো। তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজবাড়ী জেলা জামায়াতের আমির ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সদস্য মো. নুরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি মামলাসংক্রান্ত কাজেই আদালত চত্বরে ছিলাম। এমন সময় সামনাসামনি সাবেক এমপি কাজী কেরামত আলীর সঙ্গে দেখা হয়ে যায়। তিনি আমাকে দেখে হাত এগিয়ে দিলে সৌজন্যতা দেখাতে আমিও হাত এগিয়ে দিই। এখানে দোষের তো কিছু দেখছি না।’

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

jmitsolution_16012
© All rights reserved © 2025
Developed By : JM IT SOLUTION