আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলের শহরগুলো লক্ষ্য করে রোববার রাতে অন্তত ১০টি রকেট ছুড়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। এটি কয়েক মাসের মধ্যে এ ধরনের সবচেয়ে বড় হামলা বলে জানাচ্ছে ইসরায়েলের গণমাধ্যম।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, তাদের বিমান প্রতিরক্ষা ১০টি রকেটের মধ্যে পাঁচটি বাধা দিয়ে ধ্বংস করেছে, কিন্তু অন্তত একটি রকেট দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর আশকেলনে আঘাত হেনেছে আর তাতে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, এই রকেটের শার্পনেলের আঘাতে ৩০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি সামান্য আহত হয়েছেন। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আশকেলন শহরে রকেট হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত একটি গাড়ি। ছবি: রয়টার্স
স্থানীয় সময় রাত ৯টার পর থেকে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলীয় শহর আশকেলন ও আশদোদ লক্ষ্য করে রকেটগুলো ছোড়া হয়। রকেটগুলো গাজার মধ্যাঞ্চলীয় দিয়ের আল-বালাহ এলাকা থেকে ছোড়া হয়েছে বলে অভিযোগ ইসরায়েলের; এ মুহূর্তে এই এলাকাটিতে ইসরায়েলি বাহিনী কোনো অভিযান পরিচালনা করছে না।
কিছুক্ষণ পরই হামাস এই রকেট হামলার দায় স্বীকার করে। ইসরায়েল গাজার বেসামরিকদের নির্বিচারে হত্যা করছে আর এর প্রতিক্রিয়ায় এসব রকেট হামলা চালানো হয়েছে বলে হামাস জানিয়েছে।
ইসরায়েলের জরুরি পরিষেবার প্রকাশিত ভিডিওর বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, আশকেলনের রাস্তায় গাড়ির গুড়িয়ে যাওয়া জানালা ও ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
ইসরায়েলের আশকেলন শহরে রকেট হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত আরেকটি গাড়ি। ছবি: রয়টার্স
হামলার পর ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) আরবিভাষী মুখপাত্র কর্নেল অভিচয় অদ্রি গাজার দিয়ের আল বালাহ এলাকার বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের এলাকা ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়ে সতর্ক করেন। আইডিএফ দিয়ের আল বালাহে আঘাত হানার আগে এটিই ‘চূড়ান্ত সতর্কতা’ বলে জানিয়েছেন তিনি।
এরপর ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানায়, এই রকেট হামলার জন্য ব্যবহৃত রকেট লঞ্চারকে লক্ষ্যস্থল করে তারা একটি ড্রোন হামলা চালিয়েছে।
Leave a Reply