রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫, ০৩:৪৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ :
বোচাগঞ্জে হারিয়ে যাওয়া অস্ত্র-গুলি উদ্ধার অভিযান অব্যাহত, ওসির বক্তব্যে প্রশ্ন উঠছে বোচাগঞ্জে মডেল মসজিদ নির্মাণে অনিয়ম: গাঁথুনির কাজ স্থগিতের নির্দেশ সাংবাদিক ইউনিয়ন দিনাজপুর নির্বাচন: সভাপতি ও সম্পাদক পদে তিন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল কাহারোলে নিষিদ্ধ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ২ কর্মী আট বিএমবিসি উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার মানোন্নয়নে অভিভাবক সমাবেশ  বালিয়াকান্দিতে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত, নানা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত সালথা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক শাহিন গ্রেপ্তার চরভদ্রাসনে মেধাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠান সম্পন্ন বালিয়াকান্দি পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করলেন এসিল্যান্ড বিএনপির সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচির উদ্বোধন

১০ম গ্রেডে প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা: আপিল বিভাগ

  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ২.২৭ পিএম
  • ১২৬ জন সংবাদটি পড়েছেন

ঢাকা: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা (প্রশিক্ষিত ও অপ্রশিক্ষিত) দ্বিতীয় শ্রেণির মর্যাদা অনুসারে ১০ম গ্রেড পাবেন বলে রায় দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

 

রাষ্ট্রপক্ষের রিভিউ নিষ্পত্তি করে বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এই রায় দেন। আদালতে শিক্ষকদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার সালাহ উদ্দিন দোলন।  তিনি জানান, ২০১৪ সালের ৯ মার্চ থেকে এই মর্যাদা অনুসারে সুযোগ-সুবিধা পাবেন প্রধান শিক্ষকরা ।

এর আগে ২০১৮ সালে বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির সভাপতি রিয়াজ পারভেজসহ ৪৫জন প্রধান শিক্ষক হাইকোর্টে রিট করেন। ওইদিন রিয়াজ পারভেজ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তার আইনজীবীকে উদ্ধৃত করে বলেন, ২০১৪ সালের ৯ মার্চ তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করার ঘোষণা দেন। ওই দিনই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করলেও পরবর্তীতে মন্ত্রণালয় প্রশিক্ষিত প্রধান শিক্ষকদের জন্য ১১ ও অপ্রশিক্ষিত প্রধান শিক্ষকদের জন্য ১২তম গ্রেড নির্ধারণ করে।ওই রিটের পর আদালত রুল জারি করেন। ওই রুলের শুনানি শেষে ২০১৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রায় দেন।

হাইকোর্টের রায়ের দিন সালাহ উদ্দিন দোলন বলেন, বর্তমানে প্রধান শিক্ষক পদটি দ্বিতীয় শ্রেণির হলেও তারা বেতন পান ১১ ও ১২তম গ্রেডে। অথচ দ্বিতীয় শ্রেণির অন্য সব চাকরিজীবী ১০ম গ্রেডে বেতন পান। ফলে সরকারি প্রধান শিক্ষকদের মর্যাদা দিলেও তাদের প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল। এ বিষয়ে ৪৫ জন শিক্ষকের রিট আবেদনের পর আদালত রুল জারি করেন। সেই রুল নিষ্পত্তির করে রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের (প্রশিক্ষিত ও অপ্রশিক্ষিত) দশম গ্রেডে উন্নীত করতে নির্দেশ দেন। পরে সরকারপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করেন। তার ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগ রিভিউ নিষ্পত্তি করে রায় দেন।

বৃহস্পতিবার রায়ের পর আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন বলেন, দ্বিতীয় শ্রেণির যারা ছিল সবাই ১০ম গ্রেডের। কিন্তু অপ্রত্যাশিতভাবে প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকদের প্রশিক্ষতরা পেতেন ১১তম এবং প্রশিক্ষণবিহীনরা পেতে ১২তম। এখন বিএসএস থেকে যারা প্রধান শিক্ষক হন, তারাও পাচ্ছেন ১২তম। এটা একটা সীমাহীন অন্যায় ছিল। এটা সংবিধানের ২৯ অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর শিক্ষকরা আজকে তাদের স্বীকৃতিটা পেয়েছেন। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা (প্রশিক্ষিত ও অপ্রশিক্ষিত) ১০ম গ্রেড পাবেন। দ্বিতীয় শ্রেণিতে আপগ্রেডেড স্ট্যাটাস পাবেন।

রিটকারী ছাড়া বাকিরা এ স্ট্যাট্যাস পাবেন কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, খালি পদ হলো ৩২ হাজার। কর্মরত ৩০ হাজার। যেহেতু আপিল বিভাগের রায় বাধ্যকর। আমি মনে করি, সরকার এ বেনিফিটটা সবাইকে দেবে। যারা পিটিশনার হয়েছে তাদেরও, যারা পিটিশনার হতে পারেনি তারাও বেনিফিটটা পাবেন। আমরা আশা করতে পারি, সবাই ২০১৪ সালের ৯ মার্চ থেকে বেনিফিট দুটি পাবেন। তবে টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড নতুনভাবে না আসা পর্যন্ত প্রধান শিক্ষকরা এটা দাবি করবেন না বলে আপিল বিভাগে আন্ডারটেকেন দিয়েছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

jmitsolution_16012
© All rights reserved © 2025
Developed By : JM IT SOLUTION