নিজস্ব প্রতিবেদক
চাহিদামত দ্বিতীয় দফায় মোটা অংকের টাকা যৌতুক দিতে না পারায় স্ত্রী সুবর্ণাকে বার বার শারীরিকভাবে জখম ও মানসিক নির্যাতন করে আসছে পাষন্ড স্বামী শাহ্নেওয়াজ, তার পিতা আ. কুদ্দুস এবং মাতা পারভীন আক্তার। দ্বিতীয় দফায় দাবিকৃত যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় স্ত্রীকে অমানসিক নির্যাতনের পাশাপাশি বার বার তালাকের হুমকি দিয়ে আসছে শাহ্নেওয়াজ। যৌতুকের জন্য শুধু তালাকের হুমকিই নয় ২ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, ব্যবহৃত পোশাক রেখে দিয়ে সুবর্ণা আক্তারকে এক কাপড়ে বাড়ি থেকে তাড়িয়েও দিয়েছে তার স্বামী, শ্বশুড় ও শ্বাশুড়ী। বিগত ১ বছর যাবৎ তার কোন খোজ খবর না নিয়ে বরং টাকার জন্য সুবর্ণার পিতাকে অর্থের জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদর্শণ করে আসছে শাহ্নেওয়াজের পিতা মো. কুদ্দুস।
এ ব্যাপারে সুবর্ণা আক্তার এ প্রতিবেদককে বলেন, “পারিবারিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত ২৮ মার্চ ২০২৪ ইং তারিখে ইসলামী শরিয়া মোতাবেক রেজিষ্ট্রিকৃত কাবিনামামূলে আমাদের বিবাহ সম্পন্ন হয়। যদিও আমাদের বিয়ে সম্পর্কের। আমার ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আমার বাবা ঐ সময় ২ ভরি ওজনের স্বর্ণালঙ্কার, পোশাক, সংসারের আসবাবপত্রসহ ৪ লক্ষ টাকার মালামাল আমাদের সংসারে দেন। কিছুদিন পর আমার শ্বশুড় ও শ্বাশুড়ী আমার স্বামীকে বিভিন্নভাবে কু পরামর্শ দিয়ে বিবাহের পণ ও প্রতিদান স্বরূপ ৩ (তিন) লক্ষ টাকা যৌতুক নিয়ে আসার জন্য চাপ দিতে থাকে। আমার বাবার অর্থিকভাবে সঙ্কটাপন্ন থাকায় আমি একাধিকবার তাকে বোঝানোর চেষ্টা করলে তারা আমাকে বার বার শারীরিকভাবে নির্যাতন করে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম করে এবং আমার উপর মানসিক নিযাতন শুরু করে। আমি ৭/৮ মাস যাবৎ বাবার বাড়ি অবস্থান করছি। তার আমার কোন খোজ রাখেনা। আমার বাবার তাদের সাথে কথা বললে তারা যৌতুকের টাকা ছাড়া আমাকে ঘরে তুলবে না বলে জানায়।”
এ ঘটনায় যৌতুকলোভী স্বামী শাহনেওয়াজের বিরুদ্ধে গত ১৭/০৯/২০২৪ ইং তারিখে নির্যাতিতা গৃহবধূ সুবর্ণা আক্তার আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। বিচার পেতে আদালতে মামলা দায়েরের পাশাপাশি স্বামী ও সংসার ফিরে পেতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন ওই গৃহবধূ সুবর্ণা।
সুবর্ণার বাবা সাঈদ হোসেন দৈনিক কুমারকে জানান, “দীর্ঘদিন বিনয়ের সাথে তাদের বলেছি, মেয়েকে (সুবর্না) তারা টাকা না হলে ঘরে নেবে না বলে জানিয়েছে। বাধ্য হয়ে আদালতে মামলা করেছি। মামলায় বার বার শুনানির পর শাহ্নেওয়াজকে গ্রেফতার পরোয়ানা জারি করেছে। যদিও পুলিশ তাদের খুজে পাচ্ছে না বলে জানিয়েছে। তবে আমি আশপাশ থেকে খোজ নিয়ে যতটুকু জানি তারা বাড়িতে আছে এবং পুলিশ অর্থ দিয়ে বার বার ম্যানেজ করছে। অথচ আমার মেয়েকে ঘরে নিচ্ছে না।
বরুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ এ প্রতিনিধিকে জানান, আমরা এ্যারেষ্ট ওয়ারেন্ট পেয়েছে। আদালতের নির্দেশে শীঘ্রই তাকে গ্রেফতার করা হবে।
উল্লেখ্য, সূর্বনা আক্তার ফরিদপুর সদর উপজেলার পৌরসভার ২২নং ওয়ার্ডের উত্তর কমলাপুরের কে.এম. সাইদ হাসানের কন্যা।
Leave a Reply